রাতের কাশবনের রূপ দেখব বলে
বসে আছি একা।
শরতের আকাশে ভাঙ্গা মেঘের ফাঁকে
মোহময়ী চাঁদের আলোয়
দেখা যায় দূরে
যেন বান ডেকেছে কাশের বনে।
প্রতিটি সন্ধ্যায় এক অনন্য প্রেমে
আমি মরে যেতে চেয়েছিলাম।
বয়স বেড়েছে বলে নয়। সময়ের
আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়েছি অসংখ্য বছর ধরে।
আমি চেয়ে দেখি তোমায় কাশ বনে
দোলা দিয়ে কাছে আসো আমার।
আমি বাঁধা পড়ি তোমার বাহুডোরে
চুম্বনে চুম্বনে।
তখন সময় কোথায় কে জানে।
এই মধ্য শরতের রাত্রে তোমার চোখের
পিছনে জ্বলে নক্ষত্রের আলো।
রেশমি বস্ত্রের নীচে ওঠে সমুদ্রের
উথাল পাথাল ঢেউ।
সময় কোথাও নেই ধারে কাছে বা দূরে।
আমি সাঁতার কাটি রাতের কাশ বনে।
জীবনের গায়ে খোদাই করেছি তোমার নাম
তোমাকে পেয়েছি আমার রক্তে আঁকা আলপনা।
হৃসয়ের কাছে ফুটে ওঠে আগুন রঙের পলাশ।
ঝি ঝি ডাকে একটানা বিরামহীন
তোমার এই শিশিরে ভেজা রাঙামাটির গ্রাম
বার বার মনে পড়ে মাধবীলতার গান।
নৈঃশব্দে ডেকে ওঠে রাতচরা পাখী
কাশবনে দোলা দিয়ে গেয়ে ওঠো তুমি
মেঘমল্লার অবিরাম।