নতজানু আমি তোমার ধূসর সৌন্দর্যের কাছে।
ফিরেয়ে নাও যদি হাত- আমি চলে
যাব তোমার থেকে দূরে।
কতটুকু বাঁচলাম তোমার জীবন ছুঁয়ে।
মুগ্ধ তোমার দুচোখে জ্বলে ওঠে
মোমের আলো।
জ্বলে পুড়ে খাক্‌ আমি দহন শেষে।
বেদনার অশ্রুতে দিও বিদায় ।
পৃথিবীর দূর দূর পরিধি প্রান্তে
খুঁজেছি তোমায়।
নীরব প্রেম হৃদয়ে লুকিয়ে
শুরু করি জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়।
আমি তো নিশ্চিত জানি—
তোমার প্রেমে নিবেদিত আমার সকল বানী।
আমার আর্তনাতের ভিতর থেকে
বেরিয়ে আসে প্রেম পদাবলীর স্তোত্রমালা।
তাকে তরঙ্গিত হতে দাও।
একদিন নিশ্চয়ই কোন নীল বিধৌত
সুবিস্তৃত সমুদ্রতটে।
তোমার কণ্ঠস্বরের প্রবাহে জাগবে
প্রতিধ্বনির ঢেউ।
তোমার স্বপ্নের মনিমঞ্জুষা থেকে
বেরিয়ে আসবে সুপ্রাচীন প্রণয়ের শিল্পকলা।
মহাকালের রথচক্রে ধাবমান ধ্বনি আমি
অনুরণিত হই ধ্যানস্থ অপর্ণা নারীর মত
নতজানু কোন স্থিতধী পুরুষের আত্মায়।
তোমার জীবন ছুঁয়ে আমার এ সবুজ
প্রেম আরও গাঢ় হয় প্রিয়।
আমি ফেলে আসি অরন্যগাঁথা সেইসব দিন
আর একেলা জেগে থাকা তারাদের রাত...
দীর্ঘ প্রেমের দ্বিতীয় অধ্যায়ে আমি
গঙ্গার তীরে তীরে হেঁটে যায় দূরে।
উন্মুক্ত কর তোমার পাষাণ হৃদয়।
তোমার জন্য আমার এ প্রেম অমলিন।