প্রসন্নতা ছুঁয়ে থাকে তোমার জীবন
এই শীর্ণ শীতের রাতে।
হৃদয় ভরেছে তোমার শিশিরের সৌরভে।
কত প্রেম বিরহের স্মৃতি নিয়ে আজও
হেঁটে যাও শিশিরে ভেজা নরম ঘাসে।
পড়ে থাকে সারি সারি গাছ, বাঁশঝাড়
চরাচর মাঠ আদিগন্ত ফসলের জমি।
অগনন তারা জেগে আছে কালের প্রবাহে।
সোহাগি চাঁদের বন্যায় ভেসে যায়
তোমার যৌবনের স্রোত।
কতখানি বেদনায় কেঁদে ওঠে মন ।
কখনও কি শুনতে পাও নি
তোমার প্রেমিকের পাঁজরের চাপাকান্না।
     দুরের মেঘমালা ভেসে যায় বাতাসে
জরাজীর্ণ শীর্ণকায় ছায়া ফেলে-
আবছা দেখি আমি আমার জন্মের অন্ধকার দেশ।
ঘর সোহাগি রমণী তুমি। আমার নবীন
হৃদয় কাঁপানো অন্তস্থল থেকে ক্রমশ
উজ্জ্বল হয় তোমার অবুঝ অনুরক্ত মোহময়ী চোখ।
তোমার জ্যোতির্বলয়ে আবর্তিত হয় আমার
ভালোবাসার দীপ্তমান রেখার কুণ্ডলী।
গোধূলির অন্ধকার হটিয়ে নিজেকে যখন
রূপে তিলোত্তমা গড়ে তুলো
আমার শানিত রক্তে অনুভব করি তোমার ঔজ্জ্বল্য।
যে আলো ধীরে ধীরে রক্তাভ করে তোমার অস্তিত্ব।
সোহাগে ভরে তুলো বসন্তে অর্ধোস্ফুট
গোলাপের কুঁড়ির চেয়েও মিষ্টিতর
তোমার চুম্বনে চুম্বনে।
ভোরের শিশির স্নাত তোমার ঠোঁটের ভাষার
কাছে অপ্রকাশ আমি অনাজ্ঞাত ৷  
মনে হয় কুয়াশার মত ইলিয়ান উর্দ্ধগামী হলে
ঈশ্বরের কাছে আমি বর প্রার্থনা করি—
প্রতি ভোরে তোমার রূপের বিভায় নবজন্ম পায়।
চেয়ে দেখো দুরে সোহাগি চাঁদের জ্যোৎস্নায়
ভেসে যায় চরাচর। পাশে সব সুখী মানুষের ঘর।
তুমি তো সর্বদ্রষ্টা – দেখতে পাও না তাদের প্রনয়-লীলা।