অনেক প্রজন্ম ধরে তুমি কথা কও
শতাব্দী প্রাচীন।
চাঁদের হলুদ গায়ে মেখে
আমাকে তুমি দৃষ্টি দিলে।
আমি লিখতে থাকি বিজয়ার দূর্গানাম।
আর আমার চারপাশে অশ্রু-আসন্ন মুখ
ত্রাসের ছবি, ধর্ষণ গনহত্যা আর মরামুখ।
সব ছায়া হয়ে ছুটোছুটি করে।
কোলকাতার রাস্তায় জনস্রোতের ঢেউ
প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে উপচে পড়ে ভিড়।
পদপৃষ্টে মারা যাওয়া সেই সব প্রিয় মুখ।
দূর থেকে দেখি রুঢ় অন্ধকারে
ঢেকে যাওয়া উৎসবের নামে শোক।
জনমানব শুন্য অসীমে আমি
আমার চারপাশে আকাশের নীরবতা
আর বৃষ্টি ভেজা কান্না।
আর প্রেম সে তো হৃদয়ের রাগমোচন
কি দেখছ আমার হৃদয়ের আরশিতে
প্রতিবিম্বহীন তোমার মুখ।
তুমি কি জান না তোমার বুকে
আছড়ে পড়ে সবুজ প্রেমের ঢেউ।
আজ সপ্তমীর বিকালে তোমার পাশে
হাঁটতে হাঁটতে এটুকুই বুঝেছি—
আমি ডুবে যাচ্ছি তোমার  লোনাজলে।
ডুবে যাচ্ছে কোলকাতা শহরের বাইলেন
অনাদির রোলের দোকান,আইসক্রিমের গাড়ী।
শপিংমলের গাদা ভিড়ে কোণঠাসা তুমি।
মেট্রোর দোকান বন্ধ। জনারন্য আর যানজটের
অজুহাতে বিরক্ত আমাদের শহর।
আমার কৃপণ বন্ধুরা যারা তোমাকে দেখে ঈর্ষা করত
আজ তারাও চলে গেছে দুরে।
সব জ্ঞান চূর্ণ করে
আলোর লাবন্য মাখা প্রসন্ন অনুভবে
ঈশ্বরের কাছে মঙ্গল প্রার্থনা করি।
গর্ভ থেকে হেঁটে আসা আমাদের শিশুদের
মনে জ্বালাও প্রেমের বাতি।
আমাদের এই নগরজীবনে
পূজোর চারদিন মস্ত আয়োজন।
ঢাকের বাদ্যি আর আড্ডার সরগরম।
এই ভিড়ের গরমে ভিজে একশা তুমি
রাস্তার ধারে ফুচকা খেতে বিষম খেলাম আমি।
তুমি আমার মাথায় দিলে হাত।
আমার সমগ্র জীবন জুড়ে জড়িয়ে থাকে ভালোবাসার জলকণা।