রূপের অহং এ মুগ্ধ ছিল নারী
শরীর তার একমাত্র কাঞ্চন-
এই ভেবে আগুন জ্বলতে থাকে মনে।
রাত্রি গভীর হলে ধ্যানস্থ অপর্ণার মত
অপরূপ করে তুলত নারী
দীর্ঘ প্রজ্ঞা পূর্ণ এখন।
শুধুই মনে ঈর্ষার আগুন।
তার মাথার উপর মহাকাশ এক কূলপ্লাবিনী হ্রদ।
জলের স্তব্ধতায় উঠে আসে শাঁখা-পলাহীন হাত।
রূপের অহং এ জ্বলতে থাকা রমণী
কে দেবে তাকে অমোঘ স্থৈর্য্য।
সমূহ প্রকৃতি, উদ্ভিদ লতাপাতা মাটি।
সব যেন আশ্চর্য কুহুক তার কাছে।
চকিত ঝড় থেমে গেলে ঈশ্বরের কাছে
চায় ক্ষেমা।
ঈশ্বর বলেন – তুমিই পৃথিবীজননী
তুমি দাও কৃতাঞ্জলি।