দেখেছিলাম তোমার বাহুমুলে এলান কুন্তলে
বাতাসের খুনসুটি।
উজ্জ্বল তোমার কপালে ফিরোজা টিপ
উপমা হয়ে ফুটে থাকে।
নাকে বিন্দু বিন্দু ঘাম
দুচোখে কাজল
অধরে তোমার পারুলের রঙ।
তোমার দ্যুতির কাছে ম্লান চাঁদের সৌরভ।
চেয়েছিলাম তোমার এই সৌন্দর্যকে
ক্যামেরায় বন্দি করতে। তুমি বলেছিলে
আজ নয় অন্য কোন দিন শাড়ি পরে—
নিপাট শাড়ীর ভাঁজ কতদিন পারে
তোমার লজ্জাকে ঢেকে রাখতে।
শাড়ি কি পারে রুখে দিতে তোমার
যৌবনের চাওয়া পাওয়া।
রাত্রি গভীর হলে বালিশ ভেজে
মনখারাপের জলে।
সজীবতা ক’দিন থাকে –
অভিমান গড়াতে গড়াতে কত
কথা কাটাকাটি, মন্দকথা, ভালোকথা
কষ্টকথা হয়ে থাকে।
সিনেমা,  থিয়েটার, পার্ক,শপিং মল
সবেতে তোমার শাড়ীর পাশে
নিরুত্তর হেটে যায় প্রেম।
বহুকাল পর শাড়ী জেনে গেছে-
দাম্পত্য সুখে পুরুষ জাপটে ধরে শরীর
গাঢ়তম অবসর নিবৃতির পরে
তিরতিরে ঘাসে কাঁপা নরম মাটিতে
লুটিয়ে পড়ে থাকে শাড়ী।