কোন শব্দের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পাই নি
কেন না বিগত দশ বছরে কোন গভীর
ভাবনা মন কে নাড়াচাড়া করে নি।
যার থেকে আমি ক্রমমুক্তি পাব
অনাবিল সমুদ্রের জলে।
তুমিই তো আচ্ছন্ন করে রেখেছিলে
আমি তো ছিলাম তোমার
অলৌকিক অপেক্ষায়।
পরিযায়ী পাখীর মত মাঝে মাঝে
ভেসে উঠতে মনের আরশিতে।
একদিন প্রানের উষ্ণতা এনেছিলে
তোমাকে প্রানের অধিক ভালোবেসেছিলাম
                সুজলাং
আদিম মানুষের মত তোমার সঙ্গে
কথা বলেছি প্রানের ইশারায়।
গাছগাছালির সবুজ পাতার ভিড়ের থেকে
তুমি যেন সামনে, নির্জনে
উঠে আসতে আমার খুব কাছে।
যেন মেঘে মেঘে আত্মগোপনকারী
একটা পুরানো চাঁদ উঠত ।
বিগত দশ বছরে
এই অর্থহীন জীবনের মরুবালিকার বুকে
ভাষার আশ্চর্য ব্যঞ্জনায় –
তুমি শুধু জলের বিবৃতি পাঠ করে গেলে।
আমি শুধু শুনে গেলাম একা একা।
আমার যা কিছু ইচ্ছা ছিল
তা রেখে এসেছি
তোমার ক্ষয়ে যাওয়া জীবনের ভাঁজে ভাঁজে।
আমি আনন্দ ভুলেছি বহুকাল
বিবর্ণ স্বপ্নে ঘুম ভাঙ্গে প্রতি সকাল।
হে কালের রমণী – তুমি জাগো
বহু বছর পর রক্তে স্নাত হয়ে
সূর্যের আলো ঠিকরে পড়ে তোমার গায়—
ঘর গৃহস্থালি মানুষ কত রকম ভাবে সাজায়
কত রকম ভাবে আর বোঝাব তোমায়
                   সুফলাং ...