তোমার চোখের পল্লবে দেখি ওই দূর নীলিমায়  
টিপটিপ করে জ্বলে অলকানন্দার গান।
তোমার অবয়বে ফুটে ওঠে ভয়ানক মুগ্ধতা।
উন্মুখ তুমি চেয়ে থাকো দুরে-
যে পুরুষ তোমার চলে গেছে, সে কি আর আসবে ফিরে
তুমি চেয়ে থাকো, কেবলই চেয়ে থাকা...
জীবনের আলো গড়িয়ে যায়
হিমশীতল ভোরের দিকে।
শেষ রাতে ফোঁটা ফুল জেগে থাকে একা।
হৃদয়ের কাছাকাছি চুপ করে বসে থাকে প্রতারিত রাত্রি।
নির্বোধ নারী তুমি, অচল বিশ্বাস নিয়ে
আহত নদীর মত ছন্দহীন পড়ে থাকো।
কথা কি ছিল তার ফিরে আসার,
তবে কেন মিছে পথ চাওয়া।
কেন জানি না বিশ্বাস করি না ভোরের আলোয়
আসবে কোন সানন্দ সনদ।
মৃত জোছনার মত ঝরে যায় তোমার নির্বেদ আকুলতা।
বৃত্তে থাকা সহজ রমণী
জেনেছো কি কিচ্ছু শুভঙ্করী
যে তত্ত্বকথা আমি শুনিয়েছি তোমায়
কেঁদে কেঁদে মাথা কুটেছি তোমার পায়
সেই নিবেদনে তোমাকে যাবে না বোঝানো
তবুও আমি বিছিয়ে রেখেছি বন্ধুত্বের চাদর
যুদ্ধ করে বাঁচো তুমি, অহরহ বুকে বাজে দামামা গুরুগুরু।
বন্ধুত্বের চাদর যদি পারে রুখে দিতে অস্ত্রের আঘাত।
তবে চলো তোমাতে আমাতে মিলেমিশে লড়াই শুরু করি।
পথ আমার পাথেয় নারী আমার ক্ষণিক বিশ্রাম।
ভুলে কি কিছু হয়েছে চাওয়া। তুমি তিমির বিনাশী।
ক্ষমা জানো অপর্ণা।
যে গেছে দুরে তাকে তুমি ফেরাবে কোন মহাজ্ঞানে।
নির্ভার পথিক আমি, তুমিই আমার ক্ষণিক বিশ্রাম।