আমরা শুয়েছিলাম শুন্যমাঠে একা
তুমি শুনিয়েছিলে অলকানন্দার গান।
গোপনে ফিসফিসানি ওঠে মিলন ভঙ্গিমার
অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামে মাঠে।
বুকের মাঝে সঞ্চারিত হয় সুর কোমলগান্ধার।
তোমার স্পর্ধার কাছে পেয়েছি কি স্থিরতা আমি?
বুঝেছি সময় এখন নেই আগের মত ধারাল।
আমি অস্থির হয়েছি । ক্রমাগত যন্ত্রনায়
কাতর হতে হতে ভিজেছি
নিদারুন ক্লেদে ও ঘামে।
ভালোবাসার শীতকাতর আনন্দে
আমি হয়েছি টালমাটাল
তোমার সম্মোহনের সামনে বিহ্বল।
আমি উন্মুখ হয়েছি বয়ঃসন্ধির জাগরনে।
তুমি ধরেছ স্বেদার্ত শবনম কুন্তলে।
আগ্রাসী হয়েছ যৌবনে।
চুড়িদার ছেড়ে তুমি পরবে শাড়ী
তোমার দুচোখের ভালোবাসায় শেষহীন অর্ঘ্য।
আমি সাজিয়ে দেব সিঁথিতে সিন্দুর
উঠবে শঙ্খধ্বনি। মেঘ রৌদ্রের সময়
ভাসাব ডানা একলা জগৎ ভুলে।
আমাদের কথা জানাজানি হবে
কৌতুহুলী প্রতিবেশিনীদের উল্লাসে।
অভ্যেস মত বেঁচে থাকব স্বপ্নিল সুখে।