অপার তৃষ্ণা নিয়ে আমি যখনই
তোমাকে ছুঁতে চাই, কোন উৎসবে
পার্বণের আলো ঝলমল দিনে।
তুমি তখন আমার ছায়ার আড়াল গ্রহণ কর।
আমি সারা জীবন ঘুরে ঘুরে দেখেছি কত
গ্রামজনপদ, আরশিনগর
নদী-নহর ঝিলের শহর।
আমি তোমার পরিচয় অন্বেষণ করেছি
আমার মনের অনাবিল আনন্দের মধ্য দিয়ে।
তোমাকে নিয়ে লিখেছি আমার কবিতার প্রতিটি স্তবক –
যে তুমি অন্তরে আমার
যে তুমি অন্তরালে আমার, প্রতি প্রকোষ্ঠে আমার
যে তুমি বিরাজ করো আমার অখণ্ড প্রেক্ষিত জুড়ে।
অন্ধকারের সারাৎসারে অনন্ত মৃত্যুর মত মিশে থেকে
আমি নাড়াচাড়া করি শব্দের কোটরে
যথার্থ লোকায়ত শব্দের খোঁজে।
তোমার মধ্যে কি ছিল লুকানো প্রান্তিক জীবন কথা?
নিষ্করুণ রাতের চিতা ছুঁয়ে
তোমার নিবিড়েই নির্মাণ করি
ঈশ্বরের অপরিসীম করুনায়
ভালোবাসার পৃথিবী।
নিজের কাছে প্রশ্ন করলে
নিজেকেই ফিরে পেতে চাই আমি
তোমাকে ভালোবেসে আমারই অর্চনা।
এর অধিক সত্য আর কিছু নয়।
আমাকে নিঃসংশয় করো।
তোমাকে ভালোবাসা ছাড়া আমার নিষ্কৃতি নাই।
আমাকে তুমি প্রশ্নহীন করো।