আমাকে জ্বালাবি বলে কতবার জ্বেলেছিস আগুন মনে
ততবার পুড়েছিস নিজে অন্ধকার রাতে।
অশ্রুতে ভাসাবি বলে যতবার করেছিস অনাদর
ততবার ভেসে গেছিস ময়ূরাক্ষীর জলে।
সায়নী তুই কখনও সহজ হলি না
তুই কি কোনদিন নারী হয়ে উঠবি না!
হিংসা করিস বলে হিংসাকে লালন করিস মনে।
সেই হিংসার আয়ুধ তোকেই আঘাত করে বারে বারে।
রক্তাক্ত অলীক ঈপ্সা মনে বয়ঃসন্ধির ফাঁকে
অনাদর ভালোবাসায় নিঃস্ব হয়েছিস নির্জনে।
সায়নী তুই আর কবে বড় হবি
এবার তো বন্ধ কর ছেলেমানুষী।
এত যে দুঃখ করিস, এত যে অবহেলা নিজের প্রতি
নিজেকে কতটা নিরাপদ ভাবিস।
তবুও আমি আড়াল করি –
তোর বিষন্ন বিকালগুলো
তোর দিকে ধেয়ে আসা বিমর্ষ মেঘ
আর মনখারাপের খুচরো কিছু স্মৃতি।
সায়নী এবার তো উৎসর্গ কর নিজেকে
অন্ধকার জীবনের বাইরে আলোর জীবনে।