নিজের বাসনাকে অবয়বের ভিতর
সুপ্ত রেখছো আপন বৈভবে।
যে লালিত্যকে পালন করেছো অতিযত্নে
ক’জন তার বৈশিষ্ট্য বোঝে।
কেউ বোঝে না বা কেউ দেখে না
তার প্রকৃত তাৎপর্য।
অতি সন্তর্পণে থাকো। পাছে কেউ দেখে ফেলে তোমায়।
কেউ কাউকে দেখে না। এই এক অদ্ভুত অহং
খেলার ভিতর নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস চালাও।
আত্মার প্রকৃত সংবেদনশীল জ্যোৎস্নায়
ছড়িয়ে পড়ে তোমার প্রকৃত রঙ সৌন্দর্যের বিভা।
একদিন তোমার জীবনে স্নেহ ছিল, মায়া ছিল
ছিল রঙিন ফুলের সমারোহ।
অন্ধকারে আচ্ছন্ন ঘুমে কিম্বা আতান্তরে হয়েছো অস্থির।
এতদিন পর যদি নিজেকে করো উন্মোচন।
তাহলে এটা কি দোষের হবে?
নাকি হবে ক্ষমার অযোগ্য?
আমি তোমার জীবনের আদ্যোপান্ত ছুঁয়ে দেখি
হারানোর কিছু নেই।
তবে আমার হাত ধরো।
এইবার সবার সামনেই।
নন্দনের ওই রাস্তাটুকু দিয়ে আমরা হেঁটে যাবো।
তারপর একদিন বিলীন হব পৃথিবীর গর্ভে...