তোমার দর্পণে মুখ রেখে আমি গৃহগত প্রান
মাঝে মাঝে তবুও মনে হয় ভীত চঞ্চল।
তোমার করুন ছায়া উঠেছিলো
অতিরিক্ত দুলে।
কিছুটা উদ্বেগে তুমি কি তাই ঈষৎ ছলকে পড়ে
শুষে নিলে আমার কিছুটা জীবন।
যার সামনে আমি দাঁড়িয়ে আছি
সে আমার বাহিরপ্রকৃতি,
আমার দুহাতে স্থিতি, অমেয় সংহিতা।
মেপে নিই তাৎক্ষণিক কাল।
কি ভাবে পূর্ণ সংস্থাপন, জলঘট, কড়ি,
শঙ্খধানে সাজাব জীবন।
তোমার দর্পণে মুখ রেখে আমি দিব্য সুঠাম।
তোমার কল্যানব্রতে, আমার
ঐশীত্বক থেকে মেলানিন ঝরে।
আত্মরতির রুপটান থেকে ঝরে যায়
মেধার পালক।
পরকীয়া কামের নখরাঘাতে রক্ত ঝরে
হৃদয়ের গভীরে।
মনে ওঠে আত্মপ্রণয়ের ঝড়—
অস্থির চঞ্চলে আমি তুলে নিই তোমার
নির্মেদ নাড়ী, করোটি আর নিষ্প্রাণ জরায়ু।
আমি স্থাপন করি আত্মবিরতির ফাঁকে।
আমার স্থানাঙ্ক নির্মাণে।
আমি প্রেম থেকে, ভালোবাসা থেকে
কখনও মুক্তি পাবনা জানি...