দেখা হলেই মিষ্টি হেসে বলো ভালো আছি
চলো যাই ঐ পথে
পশ্চিম আকাশ পথে যেখান থেকে
নেমে আসে প্রান্তিক আলো।
স্বপ্নেরা চলে গেলে
অনাহুতের আত্মীয়ের মত রেখে যায় কীর্তিনাশা ছায়া..
তৃষ্ণার গভীরে কি থেকে যায় স্বপ্নভ্রণ তোমার?
দেখা হলেই বলো এই নাও আমার পোড়ামাটির ঘর,
পোড়ামাটির মানুষ, আর আনন্দ পরিপাটী।
আমি যদি সমস্ত আনন্দের ঢেউ
আছড়ে দিই তোমার অনঙ্গ শরীরে –
তুমি প্রতিদানে কি ঢেলে দেবে রাগ অনুরাগ
গহন গভীর কথা।
তুমি দিতে পারো সারারাত, রাত পাখীর গান।
তুমি দিতে পার সারাদিন, পদ্মপাতার মায়া।
তবুও বলি তুমি এসো, বিসর্জনের বাজনা বাজিয়ে এসো।
আমি জানি তোমার বিছানায়
নেই আর নির্মাণের পাঠশালা।
বহু আগে কি ভেঙ্গে গেছে তোমার অভিপ্রায়।
এই সরল পথ ধরে হাঁটা।
কিম্বা একা গহন জেগে থাকা।
তুমি কি বুঝেছিলে আমার করতলের অনন্ত সন্ধান
আমার সমস্ত দুঃখ নিয়ে আমি বুনে চলি
তোমার সংলাপচারিতার জাল।