বেলঘরিয়া উড়ালপুল ছুঁয়ে থাকে
           একনম্বর প্ল্যাটফর্ম।
অনেকক্ষণ একা একা নিজেকে নিয়ে গল্প করি
নিজেকে নিয়ে যুক্তি, তর্ক, কথা কাটাকাটি...
সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে দেখি
অনাত্মীয়ের ঢেউ।
ছোট্ট ময়লা ষ্টেশন, জুয়ার আড্ডা, চোলায়ের ঠেক,
মাছের বাজার, ফলের দোকান, সব্জির সারি..
কিছুটা যেন ভ্যাবাচেকা খেয়ে
বেবশ হকার ইউনিয়ন দাঁড়িয়ে পড়ে বোধ হয়।
আমি এসেছিলাম পরকীয়া প্রেমে
সাথে ছিল আমার স্বাগতম লেখা ব্যানার।
সম্বর্ধনা দেব তাকে।
দাঁড়িয়েছিলাম সিগন্যালের খুব কাছে।
সেই পরকীয়া আসে নি, এসেছিলো
পরিযায়ী বেলেল্লা বাতাস।
আমার একাকীত্বে ঢুকে উড়িয়ে নিয়ে গেল
স্বাগতমের কয়েক টুকরো থার্মোকল।
আমি বিবস্ত্র হলাম মিশে যাওয়া ভিড়ে।
বহমান শিরায় শিরায় আলাপচারিতায় কি
গড়ে উঠেছিলো আমাদের পরকীয়া প্রেম?
নাকি শুধুই অনুরণিত হয়েছিলো
শব্দহীন মাধুর্য সংগীত অন্তরে অন্তরে।
আমি চেয়ে থাকি চিরকাল সেইভাবে-
তোমার অপরূপ প্রস্ফুটিত, স্মিতহাসি,
স্বপ্নের রুপময় কারুকাজ, নিপুণ পেলবতা ছুঁয়ে
যায় যে অবয়ব তার সমস্ত মুখমণ্ডল জুড়ে
গোলাপের শুভ্রতা।
সুন্দরের সংজ্ঞামহাত্ম নির্দিষ্ট নয়।
আমি হেরে যাই অন্তিম কোন সুন্দরের কাছে।
পরকীয়া শুচিশুভ্র বিস্তার অমিত অমেয়...