তুমি সেই পথে হেঁটে যাও
     যেখানে পায়ে পায়ে অন্ধকার।
তবুও প্রানের স্রোত বয় অপার্থিব কোন পথে।
তোমার প্রতিটি শ্বাসবায়ু পতনে জন্ম নেয় প্রেম।
কিন্তু তুমি কারও সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে
      চাও নি।
আঁকতে চাও নি কোন সুখী গৃহকোণ।
কেন বারবার দুর্নিবার পরাধীনতায়
রেখছো বেঁধে নিজেকে।
পিছু হেঁটে গেছো ভালবাসাহীন জীবনে।
পূর্ণতা পাবে কোথায়, যেখানে তোমার
জীবনের অভিমুখ বলে কিছু নেই।
তুমি জান না কিছুই, এই চরাচর তোমার নয়
তবু ভয় জয়-পরাজয় নিয়ে
বুকে হেঁটে যায় মানুষ জন্মান্ধ ঘরে।
তোমার মাথার উপর সূর্যের আলো,
এক চিলতে রোদ্দুর উঁকি মারে তোমার নিষ্কাম মনে।
ফাঁকা মাঠে একা নিজেকে দেখো ছেঁড়া ক্যানভাসে।
সমাচ্ছন্ন হও একাকী নদীর পথে ভেসে যাওয়া।
আজ তুমি বাজাও শঙ্খ ঘণ্টা ধ্বনি
মিলে মিশে যাবে প্রেমে ও পূর্ণতায়।
এই কোজাগরী রাতে, কবিতা ম্লান হয় কলঙ্কের সাথে
সে খবর অনেকেই জানে,
তবুও মানুষ ঘর বাঁধে, প্রান খোঁজে জীবনের মানে...