পঞ্চমুখী জবা থালায় সাজিয়ে প্রতিদিন
যে মেয়েটি নৈবেদ্য দিয়েছে।
ঈশ্বরের দিকে মুখ করে পড়ছে ভগবদগীতা।
ভেসে আসছে দূর থেকে যার মন্ত্রোচ্চারণ
তার কি কোন উদ্ধারের আশা আছে?
হীনযোনি প্রাপ্ত জীবগন অথবা স্ত্রীলোক, বৈশ্য
শুদ্র সকলে যদি ঈশ্বরের আশ্রয় পায়
তাহলে এই মেয়েটিও পাবে ঈশ্বরের চেতনা বোধ।
চিলে কোঠার জানালা খুলে দেখে
অনেকখানি আকাশ।
সদ্য জাগা সমুদ্রের হাওয়ায় অবাক চোখে দেখে
জীবন তার ধুলায় লুটায় চারিদিকে।
সুতীব্র ঝিলিকে ঝলসে তুলে আত্মাকে।
ঈশ্বরের দিকে পা করে মেয়েটি ভগবদগীতা খুলে বসে।
ঈশ্বরের চেতনা লাভের আশায়।


অনেক দিন পর আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম
ঈশ্বরের চেতনা বোধের কথা।
সে সপ্রতিভ হতে পারেনি।
আমি তার মধ্যে দেখতে পাইনি
জগতের পবিত্র গন্ধ, সূর্যের তেজ।
জীবনকে জীবনের মত বুঝতে পারে নি।
আমি চেয়েছিলাম একটা আকাশের তলায় দাঁড়াতে।
আমি চেয়েছিলাম তার হাত পায়ের
আঙুল দিয়ে জল পড়ুক।
আমি চেয়েছিলাম তার মধ্যে তরুলতার প্রেম।
দলছুট পাখীর মত আতঙ্কিত উচাটন মন
পীড়িত হৃদয় নিয়ে খুঁজে ফেরে আর এক হৃদয়।
অরন্য কুহক নিয়ে জেগে থাকা মেয়েটি
ইশ্বরের চেতনা বোধ পাই নি।
শুধু পেয়েছে আহত ঈশ্বরের নীল হৃদাধারে
গলিত কান্নার শব।