সে বৃষ্টির ছোঁয়ার মতই এসেছিলো জীবনে।
দুজনের পথচলা যখন সুখের অশেষ
প্রগাঢ় বিস্ময় পাই আমি...
অনন্তকালের থেকে কয়েকটি মুহূর্ত শুধু
তার হাত ধরেছিলাম।
যে হাত কৃষ্ণের বাঁশির মত আমাকে
বাজিয়ে গিয়েছে অহরহ।
শাখা আর উপনদীর ভিড়ে কিভাবে যেন
পাল্টে যায় তার শাড়ীর রং, পাড়ের কারুকাজ।
তার উঠোনে লাউ কুমড়ো ফুলের কানাকানি
বুঝতে পারি তার আঁচলে ফুটে থাকতে চায়
ফুলেদের নীরব কাহিনী।
যেমন আমি থাকতে চেয়েছিলাম তার
লতানো সোনালী হাতের নীলস্পর্শকে ছুঁয়ে থাকতে।


মেঘ ছায়া ফাঁকে একফালি রোদ
ঠিকরে পড়ে তার উঠোনে—
দোপাটি চারায় জল দেয়,
নীল অপরাজিতা তুলে রাখে পাথর বাটিতে।
সময়ের স্রোতে ভেসে যেতে যেতে আমি
লিখে রাখি তার গোপন কথাগুলো
যা সে বলেছ, যা সে বলেনি।
চেতনার আগুনে পুড়তে পুড়তে
চেতন অবচেতন মিলে আমি
তার উলঙ্গ নির্লজ্জতাকে ঢেকে দিই
নৈঃশব্দের পালকে।