উৎকণ্ঠা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছো তুমি
ছুটন্ত ট্রেনের আড়ালে সন্ধ্যে ঢলে
পড়ছে তোমার মুখে।
যন্ত্রনায় অসাড় হয়ে আসা দিনগুলো
নীরবে জেগে থেকেছে কত রাত।
সময়ের পর সময় পেরিয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছি
তোমার বাড়ীর সদর দরজার সামনে
নির্জন পথে —
পথ কি কথা বলে – নির্জন অরব কথা
কিছুক্ষণ।  পথেরও ঠোঁট আছে
দাঁড়িয়ে আছি পথে দহনবেলার আঁচল ধরে।
রক্তে রক্তে মিশে যায় তোমার বসন্ত স্মৃতি।
রাগে মুখ হাড়ি করে দাঁড়িয়ে থেকেছি বলে
তুমি পা টিপে টিপে এসেছ।


মনের অর্গল খুলে অবিশ্বাস্য আদরে ভালবেসেছ।
শরীরে শরীর মিশে বুঝেছি আজ
জলও সাঁতার দেয়!
এখনও জলের দিকে মুখ করে নাছোড় চেয়ে আছি আমি
অনিবারিত সেই চাওয়া।
ভরা জোয়ারে আমি ভেসেছি-
তোমার আঁচলের তলে ধীরে ধীরে ঢাকা পড়ে আছে
আমার শেষতম সম্ভবনা।
তুমি কি দেখ নি বোধিবৃক্ষে অনন্ত প্রেম,
পাখীদের উচ্ছাস।
কল্পনা করো নি কখনও।
আহত হওয়ার প্রয়োজন মনে করো নি
এখনও রাতের ট্রেনে বাড়ি ফিরলে
মনে পড়ে তোমার মুখ
কি অন্তরঙ্গ চেয়ে আছো ভীষণ...?