সুখের সূর্য যখন তোমার মাঝ আকাশে
জল আগুনের কাব্য লিখতে লিখতে
অনাভ্যাসে পাল্টে ফেলো রুচি।
তোমার সব বর্ণনার ভেতর নাটকীয়ভাবে
আমার জন্মের এক  মহড়া দাও –
আমার অন্ধকার জীবনের পর্দা ওঠাও।
পাপ আর অনুতাপের সংলাপ লেখো
চোখের অশ্রু দিয়ে।
মরদ তোমার চরিত্রহীন, নষ্ট কোন মেয়ের সাথে,
সে কথা কি কেউ জানে?
দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে সাজাও ধর্মের বারতা
শুকনো পাতার চুর চুর শব্দের মত
ছবির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে ব্যর্থ মনস্কাম।
আমি সহানুভুতির মেঘ ডাকি
তোমার মেঘ শরীরে বৃষ্টি ভেজা ঘাম।
সারাদিনের ক্লান্তি অবকাশে
শান্তি আনে না এক বিছানার ঘুম।
জীবন ঝরে যায় বার্চের পাতার মত
পড়ে থাকে ফুটপাথে শুকনো পাতার মত।
পিছনে ফিরে না কেউ, তোমার শরীরে জমতে থাকে
শ্যাওলা, ভীত সন্ত্রস্ত সন্দিগ্ধ তুমি,
খুঁজতে থাকো  রক্ত মাংসের খাম
যদি পাওয়া যায়, ভরে দেবে তাতে
চরিত্রহীন মুখোশের চাট।
তাই তো  বাঁশ বাগানের মাথার উপর
আর চাঁদ ওঠেনা।
এবার তুমি অপেক্ষায় থাকো –
যদি আর একটা জন্মের মহড়া দেওয়া যায় ...