দুর্নামের সাথে আমার প্রতিদিনের বসবাস
আমার নেই কোন স্বাধীনতা,
বেঁচে থাকার নেই কোন অভিমুখ
তোমাকে সুবিধা মত দেখার নেই কোন পথ,
নেই কোন পথের প্রান্তর।
আলোর মত বেঁচে থাকতে চেয়েও জ্যোৎস্নার ভেতর
শব্দহীন ঝরে পড়ি রাতদিন মনের অবচেতনে।
তোমাকে ভালোবেসেছি বলে, তোমাকে ছিঁড়ে খুড়ে
আমাকে চেয়েছে যে সে আমার ঈশ্বরী।
তোমার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে প্রতিরাতে তার বিছানায়
দলন করেছে যে, সেও আমার ঈশ্বরী।
অন্তর্গত কোলাহলের মধ্যেও ছুটে আসা অশ্লীল শব্দবান
তার সঙ্গী হয়েছি অবসরে।
পথে ঘাটে আমি কুড়াই তোমার অনন্ত দুর্নাম।
স্বগৃহে যারা আমায় করেছে দংশন
আমি তাদের বলিনি কিছু মুখে কখনও।
আমার বুক থেকে গোপনে ঝরেছিল যে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত
সেই রক্তজলে পা রাখি
জলের স্তব্ধতা ভাঙে –
জলের উচ্ছাস শুরু আমার দুর্নাম ঘিরে।
আমি তো জল নই, রক্তজলের শরীর আমার।
তবুও ছুটেছি আমি জলে
দুর্নামের সাথে অনুভব করেছি আমার ভালোবাসা।
আমি উচিয়ে ধরেছি তোমার চিবুক
দেখব তোমার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে
কিভাবে মাখামাখি হয় দুর্নাম নিবিড়ভাবে...