মনের শুন্যতায় ছুটে আসা এ কোন অসমকৌণিক হাওয়া
শানিত রক্তের শিরা-উপশিরায় চক্রহীন স্রোতে বয়ে যাওয়া
হেমন্তের শেষ বিকালের রোদে সহাস্য তুমি
গঙ্গার থেকে উঠে আসা আমার যৌবন।
মাধবীলতার মত জড়িয়ে আছো আমার দেহে—
নদীর তরঙ্গের মত প্রবাহিত আমার জীবনের বাঁকে বাঁকে।
সায়নী
তোমার কাছে এসে বুঝেছি সময় আজও থমকে আছে।
মনে পড়ে তোমার সেই বাল্য প্রেমিকার স্নেহ
সারাটা জীবন আমি তোমার ভালোবাসার ভিখারী থেকে গেলাম।
আমি প্রেমে অপ্রেমে তোমাকেই চেয়েছি
তোমার শরীর আমার কবিতা।
তোমার নীল চোখের দৃষ্টি আমার স্বপ্ন।
তোমাকে কামনা করেছি সমুদ্রের নীল জলে
তোমার দুই উরু ডুবে আছে সেই জলে
ভয়ঙ্কর ঢেউ আছড়ে পড়ে তোমার বুকে।
ঘোরতর স্বপ্নের ভিতর তুমি একা উদয় হও
আমার কবিতার শব্দের মধ্যে।
সায়নী..
তুমি কি জানো তোমার সম্পূর্ণ শরীর মিশে আছে
আমার কবিতার আত্মায়।
লালমাটির পাতা ঝরা অরন্যে আজ তুমি হেঁটে যাও একা,
একাকীত্ব গাঢ় হলে গোধূলির আবছায়া অন্ধকারে
আমি গড়ে নিই সায়নীর আদল।
ভালোবাসা কতটা তীব্র হলে আদরে ও চুম্বনে ভরে দিই
কৈশোরের বৃষ্টিতে ভেজা তোমার ঠোঁট...