আমার কবিতার পাশে তোমার বাস
সর্বক্ষণ তোমায় দেখি বলে –
আজকাল কিছু লিখতে পারি না।
তোমার প্রতিটি উপমেয় বিষাদ গরল
এক পর্ব দিয়ে শুরু করে অন্য পর্বে যেতে হোঁচট খাই।
কাহিনির কিছু অংশ রয়ে যায় নৈঃশব্দের পরপারে।
স্মৃতিকথা আওড়ে এই হৈমন্তী রাতে চালাও শব্দভেদী বাণ।
রাতের নীরবতা ভেঙে ডেকে ওঠে নিশাচর পাখী।
নদীর পাড় ভাঙে মহাপ্রলয়ে।
আমি অপেক্ষায় থাকি—


মহারন্যে হারিয়ে যেতে যেতে ফিরে যদি আসে নারী
দেবদূত নয় সে, নিঠুর দরদী।
ঠোঁট থেকে সরিয়ে নেয় যে ঠোঁট
তাকে আমি কি বলব?
দিনগত সাফল্যের ব্যর্থ সাশ্রয়।
জলজ জীবন নিয়ে ছুটে কালঘাম
বেরঙিন পর্দায় কিভাবে লিখি প্রেমিকার নাম।
অভিসন্ধি খুঁজে ফেরে তোমার মন
তুমি শুধু দেখো চতুর্দিকে প্রগাঢ় অন্ধকার। দুর্বিনীত, দুঃসহ।
হিংসা দ্বেষ এবং অসহিষ্ণনুতা ভিত্তির উপর তোমার প্রতিষ্ঠিত কাল।
কালে কালে ক্ষয়েছে তোমার ভক্তি ও বিশ্বাস।
রয়ে গেছে মনে সন্দেহ ও সংশয়।
তোমার গৃহ হতে প্রদীপ তুলে ধরো
যে গৃহে প্রানের একটি আলো অকৃত্রিম  স্থির হয়ে আছে।