চল্লিশ পেরিয়ে এখন পলিত জীবন।
আমার স্বভাবী মন এঁকে বেঁকে ছুটে যায় পথের মত।
আমি হাঁটু সমান জল ভেঙে ভেঙে তোমার লালমাটির গ্রাম।
আমাকে তুমি যৎসামান্য বৃষ্টি দিও, আর একটু বাতাস দিও।
আমি তার থেকে খুঁজে নেব শিকড়।
জীবন তো একটাই—
এই পৌঢ়ে তাকে কি নতুন করে শুরু করা যায়?
আমিও তো অনেক যত্নে ঈশ্বরের হাতে গড়া পুরুষ।
নিজেকে সর্বস্বান্ত করেও বলছি এই নাও বিদ্যুৎ,
এই নাও রাঢ়ের বজ্রভূমি আর ভুমিকম্প।
এই নাও আমার হাড়পাঁজরায় লেপটে থাকা জীবনের শেষমুহুর্ত।
জ্যোৎস্নার ভিতর ভিজতে ভিজতে মনে পড়ে
কৈশোরের কান্নার দাগ যা এখনও মলিন হয়নি।
বাল্যের স্নেহের পাশে তোমার অভিমান।
সমস্ত সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে আজ তুমি কোথায় নিয়ে এলে?
জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে প্রতীক্ষায় বসে থাকি।
জ্বালাই শব্দের ফুলকি অনুক্ষণ।
জাগরনের পাশে এক মহাজাগরন আছে
আমার অস্তিত্বের মধ্যে বেঁচে থাকা
আমার ভালোবাসার প্রিয় নারী।