এক বুক শুন্যতা মেখে আমি বসে আছি
শুন্যতা বলতে তোমার নাকছাবি আলো করা উজ্জ্বল মুখ।
সেই কিশোরবেলায় শুনেছিলাম অন্ধ দাদুর কাছে
প্রজাপতি জন্মের পিছনে ব্রহ্মাণ্ডের ঘণ্টাধ্বনি।
সভ্যতার উজ্জ্বল আলো ফেলেছিল আমাদের মনে।
নিজেকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে দগ্ধ করেছি, তুমি সেই ক্ষতে প্রলেপ দিলে।
আমার মেঘহীন আকাশে ফুটিয়ে তুললে অজস্র ফুল।
নিজেকে সাজিয়ে রাখি গার্হস্থ্য টবে
সূর্যের করুনা আর বৃষ্টির জলে।
বিপুল উৎসাহে দিয়েছি করতালি।
অসমাপ্ত পুজার এখনও আছে বাকি।
আমিই সেই বজ্র বিদ্যুৎ, ভূর্জপাতার গান
বৃষ্টি নামানো শ্রাবণ।
এত যে নির্জন দিন তোমার নৈঃশব্দ ঘিরে বুঝিনি আগে
আমার মাথার ভেতর ঢুকে পড়া তোমার আত্মামেঘ, প্রগাঢ় প্রেম
সে সব আমার মুষ্টিমেয় সুখ আর অনন্ত বৈভব।
প্রতিবিম্বিত হোক তোমার আমার রক্তঝরা শপথ।