আমার কল্পনার আশপাশ জুড়ে তুমি তো কোথাও নেই
মন চায় মুখোমুখি দেখা হোক পথের কিনারে।
বিকাল শেষে গোধূলিবেলায় ডেকে আনে ঘোর,
বাঁকা চাঁদে ঝরে যায় ক্ষীণ দ্যূতি...
স্বপ্ন দেখি বেঁচে থাকার, বাঁচার মত বাঁচতে চাই
অচেনা পাখীর ঠোঁটে উড়িয়ে এনে নতুন সম্ভবনা।
গাছের ছায়ায় জমে থাকা অন্ধকার ওলটপালট করে দেয় জীবন।
কামগন্ধী জ্যোৎস্না, কল্লোলিত এই হাওয়া, মেঘমুক্ত এই আকাশ
তোমার কোমল উদ্ভাসকে দ্রবীভূত করে।
তুমি আমার আবাল্য তরুশাখা,
যাকে আমি আমার ভেতর কুসুমিত হতে দেখলাম।
যৌবন শেষ হলে বাকি থাকে শুধু মৃত্যু প্রতীক্ষা।
এই অন্তহীন লড়াই-এ ভেঙে যায় জীবনের সুশোভন তরুলতা,
আমার ভাবনায় মিশে থাকা আত্মাভিমান।
তুমি কি দেখনি তোমার দীপ্তির মধ্যে ঘনিয়ে আসে অপরিমেয় অন্ধকার?
যার সর্বগ্রাসী যন্ত্রণা, অবসাদ, বিস্মরণ, জরা গিলে খায় সময়।
তবুও আমি হেসে উঠি,
প্রেম মুক্তি শূন্য মহাকাশে, বেদানার্ত পৃথিবী’পরে
আমি দাঁড়িয়ে রই অশ্রুহীন চোখে স্থির অচঞ্চল।
আমি মৃদু শিহরণ অনুভব করি —
তোমার ঠোঁটের কোনে উঁকি দেয় আততায়ী তিল।