( আন্দামানের বিভিন্ন জায়গার নাম অবলম্বন করে লিখিত )
                                    সামসুজ  জামান
‘নীলদ্বীপে’বাড়ি গিয়ে দেখলে গায়ে তার লাল রক্ত।
‘বারাটাং’-এ থেকেও দু-ঠ্যাঙেই চলে রবিরঞ্জন ভক্ত।
‘নিম্বুডেরা’গিয়ে ডেরা যদি পাও, নিম্বু তেমন নাই।
প্রেম নেই ‘প্রেমনগরে’তে,আছে ভাই-ভাই, ঠাঁই-ঠাঁই।
‘কালীঘাটে’কালী খুঁজে পাবে নাকো, জেটিও হয়েছে বন্ধ।
‘কৌশল্যানগর’, ‘রামপুর’, ‘লক্ষ্মণপুরে’নামেই রামায়নের গন্ধ।
‘বিষ্ণুপুরে’র বনপথেতে তাড়া করে বুনো হাতি,
সুদর্শন চক্র নিয়ে কই বিষ্ণু হন না তো সাথী!
‘লং আইল্যাণ্ড’তেমন লম্বা নয়তো, ‘ষ্ট্রেট আইল্যাণ্ড’নয় সোজা।
ফালতু হবে ‘লক্ষ্ণৌ’গিয়ে চিকন পাঞ্জাবী খোঁজা।
‘হ্যাভলক’দ্বীপে চাবি দেওয়া নেই সবার অবাধ প্রবেশ।
মন ভরে দেখ ‘সেলুলার জেল’ নেই অত্যাচারের লেশ।
শান্তিই আছে ‘ভাতুবস্তী’তে ভাতুর লড়াই নেই।
‘আমকুঞ্জ’ নাম কেন হল বল খুঁজে পাবে নাকো খেই।
ভেবেছ হাঁটবে ‘বকুলতলা’র বকুল বিছানো পথে।
বৃথা হবে ভাবা ।‘মরিচডেরা’তে কেউ লঙ্কা দেবে না ক্ষতে।
‘কদমতলা’য় কানু নেই, নেই ‘রাধানগরে’তে রাধা।
‘শাদীপুরে’ শাদী হবার আগেই পড়ে যেতে পারে বাধা।
‘কাচালে’তে কোন ঝামেলা নেইকো, ‘টেরেসা’তে নেই মাদার।
‘মধুপুরে’ মধুর আশা করে গেলে হতে পারে বটে মুখভার।
নামে না থাকুক তাৎপর্য, তবু সোনার ‘আন্দামান’।
দেরী নয় ছুটে এসে নিসর্গ সুধা পান করে যান।
----------