শ্রাবণের এই দিনে ঝর ঝর বারিধারা
অকূল আঁধার হয়ে এল।
নিভে গেল সব আলো সহসা প্রাণের থেকে
হায় হায় রবি অস্ত গেল।
সাহিত্যাকাশে ছিলে স্বর্ণময় দ্যুতি নিয়ে
সে দ্যুতি ছিল সবার প্রেরণা।
নিঃসন্দেহ সূর্য তুমি মধ্যমণি আকাশের
এ দীপ্তি আর পেল কতজনা?
অশুভ চক্রান্তকারী, বিরুদ্ধ শক্তির জোট
বজ্রগর্ভ যেন কালো মেঘ।
মিথ্যে ছুটে এল শুধু বিষাক্ত ছোবল নিয়ে
থামেনি তোমার তাতে বেগ।
তোমার জাহ্নবীধারা হিমালয় চূড়া থেকে
বিগলিত করুণার রাশি।
আমাদের মনে জমা সব কলঙ্ক মুছে দেয়
প্রাণে বাজে কৃষ্ণের বাঁশি।
জীবনের প্রতি ক্ষণ নবজন্ম লাভ করে
তোমার লেখনী-স্পর্শ পেয়ে।
অনিবার্য দুঃখ-রাশি অবহেলে মুছে যায়
তোমার অমৃতগান গেয়ে।
সাহিত্যের কোন ক্ষেত্র অনুর্বর, অনাবাদী
পড়ে ছিল রবীন্দ্র-কর্ষণে?
জন্ম-মৃত্যু, প্রেম-পূজা, সবখানে উপস্থিতি
বিদ্যমাণ শয়ণে- স্বপণে।
সেই রবি নিভে গেল পৃথিবী আঁধার করে
শূণ্য করে সকলের মন।
নিভে গেল সব আলো রবি গেল অস্তাচলে
অভিশপ্ত বাইশে শ্রাবণ!