বাংলা ভাষার গর্বের দিন একুশে ফেব্রুয়ারী।
আর যা কিছু ভুলিনা কেন তাকে কি ভুলতে পারি?
মাতৃভাষার স্বীকৃতিতে সেদিন মানুষজন
ঢাকা শহরটাকে গড়ে তুলল রণাঙ্গন।
অত্যাচারী পাকিস্তানী শাসক-পুলিশ মিলে
তরতাজা পাঁচ ছেলের রক্তে পদ্মা বইয়ে দিলে।
বরকত,জব্বার,রফিক,সালাম,সফিউর তাদের নাম।
শহীদ হয়েই বোঝাল তারা বাংলার কী সম্মান।
ভাষাযুদ্ধে সামিল হল পদ্মার এ পার,ও পার,
আজিমপুরের গণকবরে সাক্ষ আছে তার।
মাতৃভাষার নামে মানুষের এত্তোখানি দরদ!
তাইতো মনে প্রাণ উৎসর্গের আসে শুভবোধ।
কেউ মরেনি, কেউ মরেনি, সবায় শহীদ হল।
তাদের নামে মাতৃভাষার জয়ধ্বনি তোল।
ইউনেস্কো শ্রদ্ধায় তাই করল মাথানত,
স্বীকৃতি দিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ব্রত।
মাতৃভাষার মর্যাদা কেউ তাই দিতে ভুলোনা ।
রক্তের বিনিময়ের রাখী কখনও খুলোনা।
যাক চলে যাক, ছোট-খাটো যা হারাবার আছে।
সবই মলিন রক্ত দিয়ে বাঁধা রাখীর কাছে।
মুষ্ঠিবদ্ধ দু হাত তুলে করব অঙ্গীকার -
বাংলা মায়ের মুখের ভাষা আমার প্রাণের অলংকার।
শান্তশিষ্ট যতই হই না, এই ভাষার জন্যে লড়ব।
এ ভাষার মান-ইজ্জ্বত গেলে মরব! মরব!!মরব!!! ----------