পঁচিশে বৈশাখ, বাইশে শ্রাবণ হোক চির অক্ষয়।
বিশ্বের কবি হে রবীন্দ্রনাথ  তোমার হোক জয়।
জন্ম- মৃত্যুদিনেই যেন  মনে না করি তাঁকে।
সারাক্ষণেই সেই রবি যেন থাকে আমাদের সাথে ।
তুমি জীবনে-মরণে-শয়নে-স্বপনে হে রবীন্দ্রনাথ।
তুমি বিনা জীবন অপূর্ণতায় ভরে থাকে দিন ও রাত।
আমাদের সব ভাবেতেই তুমি, অভাবেও থাক তুমি।
রবীন্দ্র ফুলেতে ফুলময় হয়ে ভরে থাকে মনভূমি।
মন চায় আজ দু-কলম লিখে শ্রদ্ধা জানাতে তোমায়।
নেই সামর্থ্য, তাই লিখে যাই তোমার বাণী ও ভাষায়।
‘ধানের ক্ষেতে রৌদ্রচ্ছায়ায়’ তোমার উপস্থিতি।
‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে’  বাজছে তোমার গীতি।
‘বাদল বাউল বাজায়’ বুঝি একতারারই তান।
‘জগতে আনন্দযজ্ঞে’ বাজে তোমারই শুভ গান।
‘কোন আলোতে প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে তুমি’ যাও?
‘রূপসাগরে ডুব দিয়েছি, অরূপরতন’ খুঁজে দাও!
‘সীমার মাঝে অসীম’ তুমি, তোমার তুলনা নাই।
‘একটি নমস্কারে প্রভু’ ধন্য যে হতে চাই!
দেখি ‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে’, তাতেও তোমার ছবি।
সাহিত্যের সারা আকাশ জুড়ে অমৃতময় রবি।
‘আগুনের পরশমণি জ্বালাও প্রাণে’।
‘তুমি আমাদের পিতা’, আমরা ধন্য তোমার গানে।
‘সত্যসুন্দর, প্রেমময় তুমি’ , ‘আনন্দলোকে,মঙ্গলালোকে’।
বিশ্বকবির কলমের আশীষ তাই ঝরে আনন্দে-শোকে।
‘আকাশভরা সূর্যতারা’-য় বাজে তোমার সুর।
‘সঙ্কোচের বিহ্বলতা’-কে তোমার মন্ত্রে করলে দূর।
‘আলোয় ভুবনভরা’ তুমি ‘আলো আমার আলো’ ।
‘নিবিড় ঘন আঁধারে’ তাই ধ্রুবতারা হয়ে জ্বলো।
তুমি বেঁচে থাক যুগে-যুগে, কালে-কালে আমাদের মনে।
শত দু:খেও দেখি যেন ‘আনন্দ-ধারা বহিছে ভুবনে’।
‘তোমারই গীতি জাগাল স্মৃতি’ আজ বাইশে শ্রাবণে।
‘কী গা’ব আমি কী শোনাব’ বলো আজ প্রয়াণের এই দিনে!
তোমার কাছেতে চাই গো দীক্ষা তাই তো এ’ মন বলে –
‘আমার মাথা নত করে দাও গো তোমার চরণ ধুলার তলে’।
-------------------