চিন্তা করছিলাম নিঝুম সাঁঝে;
একা ফেলে চলে গেল বিজলী!
একেবারে নিঃসঙ্গ হয়ে গেলাম-
করোনাক্রান্ত নিকষ অন্ধকারে!
অশুভ ভাবনা এলো ঝাঁকধরে!
অন্তর্চক্ষু দেখছে নীরব চারপাশ-
ক্রমশ ঘিরে ফেলে একে একে!
একটা চাপা উৎকন্ঠা চেহারায়!
আহা! জ্বলে না আশার-আলো;
শবের মিছিল বড় হয় অলখে!


কখনো ভেসে আসছে সতর্কবাণী;
অকারণে এসো না কেউ বাইরে!
ধক্ ধক্ করে উঠে শঙ্কা হৃদয়ে!
এই বুঝি খামচে ধরে শক্ত করে!
স্বপ্নহীন ধরণীটা কাঁদছে অঝোরে!
কোথাও কেউ নেই সান্ত্বনা দিবে!
হঠাৎ মনে হয়, দুঃস্বপ্ন নয় তো?
কিন্তু, সত্য বড়ই নিষ্ঠুর জগতে!
তখনো ডুবে ছিলাম অশুভ তঙ্কে!
বিজলী ফিরলে, প্রাণ পাই ফিরে।