যখন সত্য-সুন্দর হয় বিদ্রুপের শিকার
তখনও ধর্ষককে সগৌরবে বলতে শুনি,
নন্দনকাননে ফুটেছে সহস্র গোলাপকুঁড়ি,
ইকটুস ছুঁয়ে দেখলে কে বলে পাপ হয!
কারা বলে সমাজে ছড়িয়েছে পাপাচার?
তখনো জমিনে শুনি তার জয়জয়াকার!


স্তম্ভিত হয়ে যায় আকাশ-বাতাস-প্রকৃতি!
লজ্জা পায় নর্দমার কীট, নিকৃষ্ট শয়তান!
শরম পায় না শ্রেষ্ঠজীব মানুষের সন্তান!
উল্টো মোচড় খায় নির্মোহ নবীন-প্রবীণ
প্রতিবাদকারী, তারা নাকি নয় দেশপ্রেমী!
হাজারো বাক্যবাণেই শুধু ধোলাই হয় না,
সাথে পায় আরো কত অজানা উপহার!


আরও কত মশকরা করে কতকিছু বলে!
কত কত অঙ্গভঙ্গিতে কত যে রঙ্গ-ব্যঙ্গে!
কার ঘাড়ে দু’টো মাথা! বলে সত্য কথা;
ভবিষ্যৎ ঝরঝরে! থাকবে না মাথাব্যথা!
কেউ কি রবে বাকি, যে হবে অনুকরণীয়?
কার গাথা শুনে শিশু গড়বে মহৎ জীবন?
এমন দিনেরই বুঝি করেছিলাম প্রত্যাশা?