এখনো বেঁচে আছি, এটাই তো মহাবিস্ময়!
তাই তো স্রষ্টার প্রতি হই নত শির;
ঢেউয়ের পর ঢেউয়ের মতই এসেছে বিপদ
তারপরও দিয়েছেন খোদা স্বস্তির নীড়!


দেখেছি নতুন সূর্যোদয়ে আলোকিত সুপ্রভাত
শুনেছি মুয়াজ্জিনের মিষ্টি-মধুর আযান,
আনন্দচিত্তে সারা গায়ে মেখে শিশিরের কণা
দেখেছি গাঁয়ের মাঠে দোল খাওয়া ধান।


স্বপ্নের সোপান বেয়ে, পেয়েছি সুখের বাসর
আল্পনা এঁকে এঁকে তৃপ্ত হয়েছে অন্তর,
পায়রার কাকলিতে মেতেছে হৃদয় প্রতিভোর
শিশুদের কলরবে মুখরিত হয় প্রান্তর।


হিমেল হাওয়ায় দেখি কাব্যিক ছন্দের হিন্দোল;
সুনীল আকাশে দেখি শুভ্র মেঘের ঢল,
শীতের কুয়াশা যেন মমতা ভরা মায়ের আঁচল।
কেটে যায় মধুমাখা নন্দিত প্রতিটি পল।


শুনেছি সকাল-সাঁঝে মনোমাঝির ভাটিয়ালী গান;
রাখালী বাঁশির সুরে স্বপ্ন বিগলিত প্রাণ,
রিমঝিম বরষায় হৃদয় জীবন্ত হয় সারা দিনমান,
মনুষ্য জাতির তরে এ সবই স্রষ্টার দান।