কথিত আধুনিক সভ্যতার অভিনব
নরক যাত্রার কারণ লুকিয়ে আছে
ধ্বংসপ্রাপ্ত ইতিহাসের গভীরে।


ইতিহাসকে অবজ্ঞা করার প্রবনতাই
জন্ম দিয়েছে শয়তানের আজ্ঞাবহ!
যারা মহাজাগতিক আকাঙ্খার পক্ষে
জনমত গড়ে তুলতে গিয়ে হয়েছে
অতি উৎসাহী কুলাঙ্গার!


স্রষ্টাকে অস্বীকার করার হীন চেতনাই
নির্ধারণ করে দিয়েছে জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা;
অতিমাত্রিক আত্মকেন্দ্রিকতা, আমিত্মের
অহমবোধ ঈর্ষান্বিত ও বিদ্বেষপ্রবণ হতে
উৎসাহিত করে রূপান্তরিত করেছে দানবে!


ধর্মীয় চেতনাকে বিযুক্ত করে নতুন
এক সভ্যতা গড়ে তোলার বড় সাধ ছিল!
যার অনুগ্রাহকরা রবে ইচ্ছার দাসত্বে বন্দী!
অথচ, কেউ জানে না সবার অজান্তে
নিরঙ্কুশ স্বাধীনতার অশুভ পরিণতি কখন
যে সন্তর্পনে আসন গেড়েছে প্রজন্মের আন্তরে!


যদিও পুরোধারা পায়নি অমরত্ম!
তবু প্রবাহী নদীর মত প্রবনতা বহমান!
সেই বাঁধ ভাঙ্গা স্বাধীনতার অদম্য ঢেউ
নিয়ত আছড়ে পড়ছে সৃষ্টির সুনিপুন বুননে!
ক্রমেই আলগা হয়ে পড়ছে গাঁথুনির সন্ধি!
শিথিল হয়ে পড়ছে বিধানের বাধ্যবাধকতা!


পরিশেষে খসে পড়ে আহত বন্ধনের আস্তরণ!
সেই দুঃসাহসই আজ অবাধ্যতা অর্জন করে
শুরু করেছে শেকড় উৎপাটনের মহাযজ্ঞ!
এ যেন আত্মহননের এক অদম্য মহোৎসব!


তাই, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি অসম্ভব নয়;
জ্ঞানের আধিক্যে সৃজিত উর্বর চেতনা
পারবে কি রুখে দিতে আসন্ন নিপাতন?