হে আমার প্রভূ,
তোমার অফুরন্ত নেয়ামতের আধারে
এই মানব দেহে দিয়েছো তুচ্ছ প্রাণ।
কীট-পতঙ্গ, কিংবা তরুলতাও হতে পারতাম;
হতে পারতাম নাম না জানা অচিন পাখি
অথবা খালের জলে ভাসা কোন বিষাক্ত ফুল,
নিশ্চিন্তে মনের সুখে সময় কাটাতাম।
অথচ যন্ত্রণার পাহাড় দিয়ে আবার
অভাবও দিয়েছো; দিয়েছো পরাজয়ের গ্লানি!
আবর্জনা হলেও দুঃখ ছিল না তত-
পঙ্গু বানিয়ে অধম করেছ যত,
তোমার অজানা অভিলাষের খোরাক হয়ে
অবিরাম করে যাই ভুল, অন্ধ অনুমানে!
লোভ-মোহ, হিংসা-বিদ্বেষ দিয়ে
আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছো অন্তর্দেহে,
মিথ্যা অহমিকা, দম্ভ, ইগোর বশে
তৃপ্ত হই হত্যা করে, অপরের খুন চুষে!
পরীক্ষার প্রহর শেষে আবার বিচার হবে!
পথের ধুলো হ’লে বেঁচে যেতাম-
আগামী আতঙ্কের দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে।