জন্ম থেকেই জ্বলছে যারা, তাদের আবার দুঃখ কি!
দুঃখ ওদের হৃদ গভীরে, দেখলো কেন এই পৃথিবী!
আবর্জনার বেঙের ছাতাও “পথকলি” খেতাব পায়!
যদিও ওরা কল্মষ নয়, তবুও কারো নেই তো দায়!


মানুষেরই ঘরে জন্ম নিয়েও কাঁদছে কেন অবজ্ঞায়?
জনক-জননী হয়েও অনাথ লিখে দিলো ওদের গায়!
কেমন করে বাঁচে ওরা, কেউ কি ভাবে একটি বার?
ওদের কাছে ধূসর সবই, তাই ধারে না কারো ধার!


জন্মই ওদের আজন্ম পাপ! নির্মম ধরণী হাসে দেখে!
কাঁদে না জননী! পালিয়ে গিয়েছে শুদ্ধতা গায়ে মেখে!
মাথার উপরে খোলা আসমান, বর্ণহারা গায়ের চাম;
দাগ-খতিয়ান বোঝে না ওরা, জানে না পিতার নাম!


ওদের কাছে জীবনের মানে মূল্যহীন এক অশ্ব ডিম!
পৌষের শীতে ফুটপাতে শুয়ে নগ্ন গাত্রে জমায় হিম!
কুকুরের সাথে কাড়াকাড়ি করে মিটায় পেটের ক্ষুধা!
অথচ পৃথিবী তোমার গর্ভে জন্মেছে কত অমিয়-সুধা!