ঈর্ষা শত্রু সৃষ্টি করে তারে স্বাগত জানায়;
অসঙ্কোচ সত্য উচ্চারণ দ্রোহের বারুদের মত
কাফেলার পদচিহ্ন খুঁজে খুঁজে এগিয়ে গিয়ে
মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ায় গর্বিত ছন্দে!


আকাশ ভরা তারার মাঝে খুঁজি পূর্ণিমার চাঁদ,
যা ঢেকে গেছে অজস্র বর্ষ আগে অবজ্ঞার মেঘে;
নতুন অধ্যায় কলঙ্কের কালিমায় ঢেকে দিয়ে তারে
আঁধারে, অরণ্যে লুটে নেয় অফুরন্ত সুখ সানন্দে!


যবনিকার ছায়া ঈষৎ উঁকি দিয়ে খোঁজে বিনাশ;
শোনে ভূমিকম্পের ফাটলে সুনামীর ভয়াল নিনাদ,
বেসুরো বাঁশরি নিয়ে খেলে যায় সাপের ফনায়;
আরশে কাঁপন লাগে অগনিত মাসুমের নিরানন্দে!


তির্যক বাণে আহত স্বপ্নগুলো ধরাশায়ী হবে
যুগান্তরের লালিত ঘৃণ্য জিঘাংসার অভিশাপে,
দানব দমনে হায়না হননে শিকারীরা দক্ষ হলে
নির্বিষ হবে বিষাক্ত বনফুলনাশকের সুগন্ধে!


আসে যদি নিশি শেষে সোনালী প্রভাত ফের
স্বার্থপর হয়ে সুখের স্বপ্ন নিয়ে থেকো না বিভোর,
আনন্দ বিলিয়ে দিও নিপীড়িত তৃণমূলে ঢের;
খাঁচার পাখিগুলো মুক্ত করে দিও আনন্দে।