আমিত্ব আর অহমিকা মিলে মিশে
স্বপ্নীল পৃথিবীতে বালাখানা গড়ে,
যেখানে জীবন বড়ই আনন্দময়!
এ এক অন্য রকম ভোগের ভুবন,
তাই তো বসতিরা অমরত্ম চায়!


গবেষণাগারে বিনিয়োগ ঢেলে ওরা
জীবনকে ভোগ করার বিধান বানায়,
রংধনু থেকে রকমারী রঙ এনে
নিত্য নিশীথে তারা বাসর সাজায়!
নানা বাহানায় শুধু ভোগ করে যায়!


বিতৃষ্ণা এলে অদল বদল করে
কৌশলে ভোগবাদী সুস্বাদ বাড়ায়!
নরকের ভয়ে কেউ শংকিত নয়,
বরং ভূ-স্বর্গের বিচিত্র সুখ পেতে
সাগর-মহাসাগর পাড়ি দিয়ে যায়!


কল্পলোক বিনির্মাণে অকুতোভয়,
সৃষ্টির মালিকানারও হিস্যা চায়!
চাহিদা বাড়াতে হুকুমের দাসদের
ছলে বলে কৌশলে বলীতে চড়ায়!
উচ্ছিষ্ট ভোগের তরে হায়রে কাঙাল
চোখের ইশারায় খঞ্জর তুলে নেয়!


কুঁড়ির পাপড়ি গুলো ছিন্ন ভিন্ন করে
বিজয় উল্লাসে ওরা মাতোয়ারা হয়!
বিনিময়ে ওরা আলেয়ার চরণতলে
নিজের আয়ুষ্কালও বিসর্জন দেয়!


আমাকে ক্ষমা কর হে বিশ্বের প্রভূ-
আমি নিন্দিত নরকে করি মহাভয়।
হে আমার জীবন দাতা বিশ্ব বিধাতা
নগন্য হতে আমি দ্বিধা করি জয়।


সার্বভৌমত্মেও আমার লালসা নাই।
অদৃশ্য সত্যকে মন্থন করার তরে
তোমাতেই আত্মসমর্পণ করতে চাই;
মর্ত্য সুখে আমার কোন লোভ নাই।
বিনিময়ে শুধু তোমার সান্নিধ্য চাই।