অবাক বিস্ময়ে দেখি প্রতিদিন অবক্ষয়ের ঢেউ!
পাড় ভাঙ্গা মাটির মত খসে পড়ে
পলে পলে সভ্যতার পলেস্তারা নিরন্তর!
নির্বাক তাকিয়ে রয় অসহায় কত মুখ বিষন্নতায়!


ক্রমেই বিবর্ণ হয়ে উঠে সতেজ পাপড়িগুলো
আরণ্যকের বন্যতায়!
থমকে যায় জীবনের জয়গান কলঙ্কের কালিমায়!
অশান্তির উত্তাপে ঝলসে যায় প্রশান্তির ছায়ানীড়!
খামচে ধরে রুদ্র অক্টোপাস জিঘাংসায়!


মুখোশের আড়ালে দানব অট্টহাসি হাসে দাম্ভিকতায়!
পর্দার আবডালে বসে কলকাঠি নেড়েচেড়ে
সহাস্যে পিষে মারতে চায় নন্দিত ছন্দকে নির্ভাবনায়!


তখনো রাত্রি গভীর!
ঊষার আশায় সময় কাটায় ক্ষত-বিক্ষতরা মৌনতায়!
একটু আশ্বাস চায় বিশ্বাস ফিরে পেতে,
একটু স্বপ্ন দেখার দুরন্ত সাহস খুঁজে কল্পনায়!
হায়! কত দীর্ঘ আঁধার চেপে বসে অমানিশায়!


তবু বিনিদ্র আকুতি প্রত্যাখ্যাত হয়ে
ফিরে আসে বার বার যন্ত্রণার প্রচন্ডতায়!
অবশেষে চিড় ধরে বিশ্বস্ত আস্থায়!
কুঞ্চিত হয় এ হৃদয় সুখ বিনাশী বেদনায়!