সেদিন জোছনা রাতে চাঁদকে সাক্ষি রেখে
দৃপ্ত কন্ঠে তুমি করেছিলে অপূর্ব উচ্চারণ,
“যদি প্রেম দাও প্রিয়তম বর্ণালী স্বপ্ন দিব
মুক্তির আনন্দ পাবে, হবে উত্তরণ।”


তোমার অবর্তমানে রেখে যাওয়া পটে
বিদ্বেষী ছবি আঁকে অনুগামী-অবলীলায়!
মনের গভীরে সঞ্চিত ব্যথা বলি কারে,
প্রিয় কবি, তুমি যে নেই আর বসুধায়।


যুগে যুগে জমে যাওয়া লালিত প্রত্যাশা
লাল-সবুজ গালিচায় করে স্বপ্নের সন্ধান,
অবারিত নয় দ্বার, কেউ নয় জনতার!
বুঝি না ওদের ভাষা! কোথা সে বিধান!


তোমার রোপিত বীজে জন্মেছে বিষবৃক্ষ
অনাবাদী হয়েছে যত সাধের জমিন!
কণ্টকী কাননে দেখি অগণন জংলী ফুল!
ওরাই নমস্য! জাতি পেল ভ্রষ্ট নবীন!


অহোরাত্র-অবিরত দেখে দুখের স্বপন!
ভুলে গেছি মহাকাব্যের সেই রক্তক্ষরণ!
আজ এসে বুঝি শেষে সেই সব প্রিয়জন
বৃথাই রক্ত দিয়ে মৃত্যুকে করেছে বরণ!