প্রক্ষিপ্ত শৌর্য থেকে ভ্রুণ,
রক্তের প্রলেপ থেকে মাংসপিন্ড,
মাংসপিন্ডে প্রবিষ্ট হ’লো শক্তি,
জননীর জরায়ুতে সচল হ’লো
মাংসল বস্তু, আমার অস্তিত্ব!
পরিমিত প্রক্রিয়া শেষে
শুরু আমার ভূতল দর্শন।
কৃতজ্ঞতার আতিশয্যে মেনেই নিলাম,
স্বশাসিত নিপুণ এই কারিগরই
প্রভূ, আমার স্রষ্টা, মালিক।
কে তাঁর প্রতিপক্ষ? কি তার নাম?
তবে নয় কেন আমি তাঁর গোলাম?
কার কাছে করি প্রত্যাশা?
সংকীর্ণ প্রাণীকূল?
যে তার গন্ডির বাহিরে অন্ধ-আকুল
তার কাছে কার কি চাওয়ার আছে?
সে তো নিজেই ভিখিরি, হীনবল!
চকমকে নশ্বর মাকাল ফল।