আমার কবিতা তো কবিতা নয়,
পড়ে হয় শুধু সময়ের অপচয়!
তাই তো বোদ্ধা পাঠক-সুধী
বারে বারে মুখটি ফিরায়!


অজস্র প্রেমের কবিতা জুড়ে
পাই কত আবেগের সুমিষ্ট ঘ্রাণ;
দেশাত্মবোধ সমৃদ্ধ মাটির মায়া
হৃদয়টা ছুঁয়ে যায়।


যখন দেখি-
মমতার আঁচলে শুয়ে আছে শহীদের লাশ!
ব্যথিত হয় ছিন্ন হৃদয়! ইচ্ছে করে-
প্রকাশ করি অনুপম কবিতায়;
কিন্তু, ভাষার আকালে ইচ্ছেরা মূর্ছা যায়!


আবহমানকাল থেকে দেখেছি,
রক্তাক্ত রাজপথ হয়েছে মুক্তির মিছিলের সাক্ষী;
দেখেছি তার বুকে কত সাহসী বীরের লাশ!
যারা ইতিহাসের বাঁকে গড়েছে নতুন ইতিহাস।
দেখেছি, ইতিহাসের রক্তক্ষরণ!
তোমরা কি দেখেছো কোথাও?


শহীদের সাথীরা যখন ইতিহাসের শিক্ষা ভুলে
করে যায় অমানবিক সন্ত্রাস!
নিরন্ন মানুষের হাহাকার করে উপহাস!
নির্মম থাবায় ছিন্ন করে নারীর অন্তর্বাস!
দেখে নিও, যদি দেখার মত চোখ থাকে,
বুঝে নিও, যদি বোঝার মত মন থাকে,
ইতিহাসেরও রক্তক্ষরণ হয় অবিরাম!


অনেকেই ভুলে গেছে মেডিক্যাল চত্বর, নীলক্ষেত
বাংলার অলি-গলি সহ কতশত আসাদগেট!
কিন্তু, ভুলে নাই ইতিহাস!
নীরবে-নিভৃতে লিখে যায় রক্তাক্ষরে
অধিকারহারাদের ক্রন্দনের ইতিহাস!


ইচ্ছে করে কলমের ছোঁয়ায় করি দ্রোহের প্রকাশ!
কিন্তু, সাহস, শক্তি আর ভাষার দারিদ্র্য আমাকে
পরিণত করে অসহায় পাঠক, দর্শক, শ্রোতায়!
আমি নীরবে দেখে যাই শুধু মানবতার পরাজয়!
আর ভাবি, ব্যর্থ জনমই আমার আজন্ম পাপ!