(গতকালের পর)  শেষ পর্ব


অধুনা সভ্যতার এ গতি কি উন্নতি নাকি অধোগতি?
এ গতির লক্ষ্য কি?
উদ্দেশ্যের অন্তর্নিহিত অদৃশ্য ও আধ্যাত্মিক
পরিমাণগত ও গুণগত পরিবর্তনের ফলাফল ও তার ব্যাখ্যা কি?

এ সব নিয়ে ভাববার কোন অবকাশেরও অবশেষ নেই।
ভিন্ন মাত্রার যান্ত্রিক সভ্যতার উগ্র রঙ
আমাদের এমন ভাবে রঞ্জিত করেছে যে,
কবিতার বিষয়বস্তু আর জীবনের অর্থই বদলে গিয়েছে।
মৃত্যুর আতঙ্ক এখন সবাইকে স্পর্শ করে অতীব সহজে!
তবে পূণরুত্থিত জীবনের হিসেবের খাতাটা থাকে অবিশ্বাসের গভীরে!


অমরত্মের স্পৃহা গবেষণাগারে লালিত হচ্ছে প্রযুক্তির হাইব্রীড গর্ভে!
ইতোমধ্যেই যৌবনের দীর্ঘ জীবন প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়েছে।
বৃদ্ধের ভীমরতিতে রাজপথ পুলকিত হয়
কিশোরী তরুণীর হাতে হাত রেখে দেহতত্বের গানে গানে,
নগ্ননৃত্যের তালে তালে!


মাতালে বেতাল এই ধরণীতল কার তরে কতটুকু নিরাপদ?
রংধনুর সাতরং চারুকলার তুলির ছোঁয়ায়
যদি শান্তির বিকল্প হয়ে পায়রার মত শত শত
আঙিনায় পৌঁছে যায়, ক্ষতি কি!
বেশ ভালই তো!
ভবিষ্যতই বলে দেবে,
বসুধার চোখের জলে পাথার সৃষ্টি হবে,
বুক ফাটা আর্তনাদে মৃত্যুপুরীর আয়তন বাড়বে,
নাকি মহাস্বর্গের মহাসুখ আবির্ভূত হবে!


                             (সমাপ্ত)