(গতকালের পরে)

চাকচিক্যময় প্রতারকদের খপ্পরে সরল বিশ্বাসীরা জিম্মি!
মানুষের সরলতা এখন অযোগ্যতা বলেই বিবেচিত!  
অধুনা সদাচরণ দুর্বলতারই নামান্তর!
মুখোশধারী আর অবিকল অরণ্যবাসীদের অসভ্যতার শিকার হয়ে
সদাচরণকারীগণ নিজেদের অজান্তে নিজেদেরেকেই
অপরাধী ভাবতে শুরু করেছে!


দলিত জরায়ুর খোলস পিছনে ফেলে ধেয়ে আসছে
প্রতিহিংসা পরায়ণ প্রতিশোধোন্মত্ত
দানবরূপী, বিধ্বংসী, হৃদয়হীন মাংসপিন্ড!
এ সবই বেপরোয়া মনোবৃত্তির উপসর্গ,
উশৃঙ্খলতার বহিঃপ্রকাশ!
অসত্য চর্চ্চার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!

দম্ভ, লোভ, মোহ অশ্লীলতা, মাদকপ্রিয়তাও
নিঃসন্দেহে সুরুচি সহায়ক নয়।
পার্থিব বিধায়ক মন্ডলীদের প্রায় শতভাগই
অধুনা সংস্কৃতির নিয়ামক হিসেবে ক্রিয়াশীল।
নব্য জ্ঞান গুনের আধার বলে খ্যাত নানান মুনির
ভন্ডামী ও তান্ডবে আত্মার সম্পর্ক ছিন্ন ভিন্ন!
অথচ নিজেদের অজান্তেই কখন যে তারা
বিত্ত বৈভবের উস্কানীতে উচ্চমার্গের মক্ষীরাণীদের
হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে, তাও জানে না।

অধিকাংশেরই বদ্ধমূল ধারণা,
বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রত্যাগ অতীব তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়।
মানব কল্যাণে প্রযুক্তি;
অকল্যাণের পথ নির্দেশ তবে কার অবদান?
কে তার নেতৃস্থানে?
শিশুর মানসিক বিকাশে কে তোলে বিকৃতির প্রাচীর?
অন্ধ গলির মানচিত্র এঁকে এঁকে কে দেয় তাদের হাতে তুলে?
কামনার জ্বালা ছড়িয়ে পড়ে দাবদাহের মত শরীর থেকে শরীরে,
মন থেকে মনের গভীরে!
কুলবধু আজ রক্ষিতার আসনেও নির্লজ্জ!


                                        (চলবে--)