(গতকালের পর)
নেতুত্ব সংকটে অনাগত পৃথিবী যদি ভারসাম্য হারিয়েই ফেলে,
তবে মহা দুর্যোগের অশনি সংকেত কি সত্যে উপনিত হবে না?
দর্শন বিভ্রাটে ধর্ষিত ইতিহাসের নগ্ন চেহারা দেখেও
আজ কেউ লজ্জা পায় না, বরং আরও বিচিত্র ভাবে
উপভোগের নতুন নতুন কৌশল আবিস্কারে মহা ব্যস্ত!


এ ধারা অবিনাশী নয়, বরং ক্ষয় রোগের প্রথম প্রকাশ মাত্র!
একি কোন অপরাধের শাস্তি নাকি
ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেওয়ার কুফল?
সময় কিন্তু কারও মুখাপেক্ষী নয়, ভীষণ দ্রুতগামী।
অচলায়তনের অন্তঃসারশূন্যতা
আঁতেলদের ভন্ডামিকে ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্গ করতে শুরু করেছে!


অপার্থিবতাবাদের সামনে এখন আর নিরাপদ দূরত্ব বলে কিছু নেই।
কেউ কেউ আবার সম্মুখ সমরের ভয়াবহতার কথা ভেবে
ইঁদুর-বিড়াল খেলার পন্থা অবলম্বনে উৎসাহ দেখায়!
মাঝে মাঝে কাউকে কাউকে বলীর পাঁঠা বানিয়ে
প্রতিপক্ষ শক্তির শক্তি পরীক্ষা করে নিজের
অস্তিত্ব রক্ষার কৌশল নির্ধারণ করে।


ইত্যবসরে মানব সৃষ্ট কৃত্রিম পণ্যের বর্জের ভারে
মৌলিক সৃষ্টি ভীত বিহবল চিত্তে বিধাতার কাছে প্রার্থনা রত!
অথচ বিধাতার কর্মই এখন অতীতের নির্বুদ্ধিতার ফসল বলে
অবিশ্বাসের আধুনিক দ্যোতনায় দোদুল্যমান!
                                                    (চলবে---)