হায়! প্রেমের কবিতা যদি দু’একটা লিখি
গিন্নী বলে, বুড়ো কালের কোকিল পাখি!
আহা! ধরেছে ভীমরতি
কমবে চোখের জ্যোতি!
ভুলে গেছো! ঘরে আছে জনমের সখী!


যদি লিখি প্রতিবাদী, বিদ্রোহী কবিতা
বলে আহা! বিপ্লবী! কি লেখো যাতা?
ভয়ে কাঁপে পরিবার
শক্তি নাই সহিবার!
কিছু যদি হয়! কোথায় রাখবো ব্যথা!


দেশের কবিতা যদি লিখি বসে ভালবেসে,
আবেগ ছড়িয়ে দেয় পিছনের স্মৃতি এসে;
নিন্দুকে বলে আমি
আহা কি দেশপ্রেমী!
পুরোনো পায় না ভাত! নব্য কবিরা আসে!


বলো বলো কবি ভাই, কি লিখি এখন
কেমনে কাটাই বলো বেকার এই ক্ষণ!
আসে না মাথায় কিছু
ভূতও ছাড়ে না পিছু!
কি করবো, কোথা যাব, বলো প্রিয়জন।


শিশুতোষ লিখে খোশ, কত পাই মজা
মনে হয় আমি আজ খুবই বড় রাজা!
শেষে কি পাগল হলে?
শিশুদের দলে গেলে?
হেসে বলে গিন্নী শেষে, এই নাও খাজা!