হে আমার মালিক প্রভূ
তোমারই নামে আমি করিলাম শুরু,
আমি তোমার নগন্য সৃষ্টি মাত্র
তোমার রাসুল আমার গুরু।


আমাকে করেছ তুমি আজন্ম দ্রোহী
তবে তোমার বিরুদ্ধে কভূ নয়,
পাপী-তাপী আমি, হতাশাগ্রস্ত
তাই তো লিখছি খোলা চিঠি সবিনয়।


মানুষকে করেছ সৃষ্টির সেরা জীব, অথচ
শয়তানের হাতে দিয়েছ ভ্রান্তির জাল,
সেই জালে ফেঁসে গিয়ে মানব সন্তান
দলে-বলে হয়ে গেছি তাহারই দুলাল!


তুমি বলে দিলে,“ধর্ম যার যার তার তার”
আবার বলেছ,“ইসলামই পছন্দ তোমার,”
অথচ ইসলাম বিভক্ত নানা মতে
কোন পথে যাব, বুঝি না তুমি যে কার!


নবীর প্রেমিক বলে হাদিস বাছাই করে!
তুমি কি দিয়েছ তাদের সেই অধিকার?
পীরের গোষ্ঠী এখন সেজেছে নির্দেশকারী
কোরআন-হাদিস তবে আছে কি দরকার?


মাজারে পুঁজারী তার নত করে শির
কত নামে গড়ে কত সমাধি!
বংশ বিভেদে কেউ করে অহমিকা
অনেকেই দাবী করে তারা নাকি বনেদি!


মালেকী, হাম্বলী, শাফেয়ী, হানাফী
মুসলিম বিভক্ত আজ শিয়া আর সুন্নি,
তুমিই তো নিয়ন্ত্রণ কর সারা বিশ্ব
সবই জান, এ ধরাতে কে জ্বালায় বহ্নি!


আই, এস-কায়দা বলে সশস্ত্র কত দলে
ইসলামের নামে ওরা করে যায় যুদ্ধ!
হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, ইহুদী মিলিত ভাবে
বিশ্ব মুসলিমের উপর হয়ে যায় ক্ষুব্ধ!


বাস্তুচ্যুত মুসলিম হলো আজ অসহায়!
নিপীড়নে ‘আইলান’ হলো লাশ সাগরে!
হায় খোদা দয়াবান, তরঙ্গ বহমান;
হায়! তোমার পড়ে না কেন নজরে!


কারা গড়ে সন্ত্রাসী-কার তরে মহামারী!
শান্তির আঙিনা আজ কারা করে ছারখার?
কোন সে আদর্শ নিয়ে, নিজেরা লড়াই করে!  
কাদের ইশারায় কেন আজ বারবার?


ওরা যদি ভ্রান্ত হয় করে দাও নিঃস্ব;
আমরা নিরিহ যারা, চাই নিরাপদ বিশ্ব,
আর যদি সত্যিই তোমারই সেনানী হয়
বিজয়ী করে দাও, দাজ্জাল পক্ষ হোক ভস্ম।


মসজিদে বয়ান হয় গণতান্ত্রিক চেতনায়
সমাজতান্ত্রিক ইসলামও নাকি আছে দুনিয়ায়!
ইসলাম প্রচার করে কাদিয়ানী সমারোহে
‘দাইয়ুস’ও কর্তা হয়ে ইমামদের শিক্ষা দেয়!


মুসলিম নামধারী সুদের কারবারী
খেতাবিত হয়ে চালায় উন্মুক্ত রথ,
অহরহ ধোঁকা খেয়ে হতাশায় ডুবে!
ঈমান বাঁচাতে পথিক খোঁজে সৎপথ!


বিভ্রান্ত হয়ে আমি হয়ে যাই অপরাধী
শেষের বিচারে তুমি হবে মহাবিচারক,
“আদমের” মত আমাদেরও ক্ষমা করো
এখানে ছেড়ে সেখানে হইও না ভয়ানক!