এক চিমটি সুখই তো চেয়েছিলাম, তোর সাম্রাজ্য তো নয়!
তাতেই তোর উপরটান উঠে গেল! আসলে তুই একটা রাবিশ!
অথচ, হেঁসেলের পাইপ দিয়ে নর্দমায় ভেসে গেল কত জৌলুস!
তোর তো আবার একটা চোখ ট্যারা! মনটাও গরলে ভরা!
কাছের উদ্যানকে অরণ্য ভেবে দূরের জঙ্গলকেই মঙ্গল ভাবিস!
আসলে আমারই ভুল! আমি জানতাম না তুই এত বড় খবিশ!
দূরদর্শিতার অভাব দেখে তোর জন্য আজ আমার করুণা হয়!
তোর তো ভূস্বর্গের উদ্যানে হিমেল হাওয়ায় দোল খাওয়ার কথা;
অথচ, জীবনের পতন রোধে কদর্য পথে কার ঘানি টানিস?
ওরা তো তোরই মুখাপেক্ষী ছিল সকাল বিকাল সন্ধ্যা বেলা!
তোর কানন জুড়ে ছিল গোলাপ, চামেলী, বেলী, হাসনাহেনা!  
তোর স্বর্গোদ্যানে ছিল রঙের বাহার, যেথা ছিল সুখের ভেলা!
মাত্র ক’দিনেই বদলে গেল সুরের খেলা আর জীবনের পালা,
এখন ঝাপসা চোখে চশমা খুঁজিস, হৃদয়ে নিয়ে ব্যথার জ্বালা!