একটি সদ্য ফোটা লাল গোলাপ আর
এক নদী রক্তের গল্প সবাই ভুলে গেছে!
ভুলে গেছে সেই ভয়াল মৃত্যুর উপাখ্যান!
যে বিসর্জনের বিনিময়ে উঠেছিল দুলে
হিমেল হাওয়ার ঢেউয়ে গোছা গোছা ধান!


তখনো আকাশে ছিল বেদনায় ভরা নীল!
ছিল এ জমিনপ্রেমীর বুকে উচ্চমান বীজ!
তখনো মুক্তির স্বপ্নগুলো আঁকাবাঁকা নদী
আর সবুজের ছায়াপথে মেলে দিতো ডানা!
চাপ চাপ রক্তচুমে খুঁজে নিতো জননীর প্রেম!


অবনী নীরবে মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিতো মমতায়
নীড়হারা পাখিদের মোলায়েম পালক ছুঁয়ে;
পত্ পত্ করে বিজয়নিশান উড়লে তখনো
ছুটে যেত স্পন্দিত আবেগে তীর ভাঙ্গা ঢেউ!
স্বলাজে তখনো জানালায় উঁকি দিতো কেউ!


বিবর্ণ জনপদে আজ অভিশপ্ত কালো মেঘ!
অমানিশা রাতে এখন থমকে যায় পান্থ!
কেউ কি কিছু বলছে! বলতে চায় ডেকে!
ভুল! এতো সেই হায়েনা হাসছে সানন্দে!
যার নখের আঁচড়ে বসন্ত গিয়েছিল অনন্তলোকে!


ফাল্গুনীর সাথে আজো হলো না গড়া শান্তিনীড়!
কখনো চৈত্রের খরায়, কখনো শ্রাবণের প্লাবনে
নিয়ত অনুভবি সর্পের ছোবলে মৃত্যুর থাবা!
এখনো পুত্রের রক্তে শাড়ির আঁচল হয় সিক্ত!
তাইতো জাগে ভয়! ছিড়ে বুঝি যায় মানচিত্র!