শ্রেষ্ঠ শব্দ গুলো খুঁজে খুঁজে বের করি
মোটা মোটা কত শত অভিধান ঘেঁটে,
বাহবা কুড়াব বলে লিখে যাই কাব্য গাঁথা!
মা গো তুমি অকারণে ধরেছিলে পেটে!


মায়ের দুঃখ ঝরে ফোটা ফোটা অশ্রু হয়ে
বাস করে আজ তারা দূর আশ্রমে,
তাদেরই জঠর থেকে এসেছিল শিশু ভূমে
তাদেরই কষ্ট গুলো ঝরেছিল ঘামে!


মায়ের বেদনা যত অনাদরে বাসী হ’তো
দুধের নহরে কত কেটেছি সাঁতার,
আজন্ম দুখিনী মা দুঃখ সয়ে সয়ে
আজও দেখে তারা শুধু অথৈ পাথার!


রবির রস্মি শুষে দিয়েছিলে তুমি মাগো
আজীবন সুখকর অশ্বত্থের ছায়া,
নিরন্ন-নির্ঘুম শত জ্বালা বুকে নিয়ে
তবুও করেছ মাগো আমাদের মায়া!


আমাকে কখনও তুমি বুঝতে দাওনি মাগো
সংসার জীবনের অভাব-অনটন,
ধাপে-ধাপে ছুঁয়েছি মা পাহাড়ের চুড়াগুলো
আড়ালেই থেকে গেছ তুমি মহাজন!


দুখের বাসরে মাগো করে গেছ শুধু ত্যাগ
মমতার আঁচলখানী করে গেছ শূন্য,
সুখের প্লাবনে ভেসে আনন্দ করি ভোগ
তোমাকে ভুলে মাগো হয়ে গেছি বন্য!


তবুও জননীরা কখনো দেয় না অভিশাপ!
তাইতো তারা সবে জননীর জাত,
আমরা বুঝবো সবে সময় ফুরোবে যবে
সামনে আসবে যবে ঘনঘোর রাত!